empty
 
 
13.03.2025 08:23 AM
১৩ মার্চ কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

বুধবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ

GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট

This image is no longer relevant

বুধবার, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত ছিল। মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের ফলাফলের অন্তত সামান্য হলেও ডলারের দরপতন ঘটানো উচিত ছিল, বিশেষ করে গত দুই মাস ধরে বিভিন্ন কারণে ডলার দুর্বল হয়ে আসছে। স্থানীয়ভাবে, মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস পাওয়ায় আমরা মার্কেটে ট্রেডারদের প্রত্যাশিত প্রতিক্রিয়াই পর্যবেক্ষণ করেছি, কারণ এটি ফেডারেল রিজার্ভকে আরও ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে পারে। তবে, ইউরোর মূল্য বৃদ্ধি পায়নি, এবং মার্কেটের ট্রেডাররা এখনো ইউরোর মূল্যের বিয়ারিশ প্রবণতা সৃষ্টি করতে পারে এমন সকল কারণ উপেক্ষা করছে। ফলস্বরূপ, পাউন্ডের মূল্যের 90% ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের মূলত একটাই কারণের সঙ্গে সংযুক্ত এবং সেটি হচ্ছে ট্রাম্পের শুল্কনীতি। এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট মন্থর হচ্ছে, এবং দৈনিক টাইমফ্রেমে পাউন্ডের মূল্যের পুরো ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টই শুধুমাত্র একটি কারেকশন বলে মনে হচ্ছে। এত বেশি মূল্য বৃদ্ধির পর, এখন এটি নির্ধারণ করা কঠিন যে মূল নিম্নমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হবে কি না।

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

This image is no longer relevant

বুধবার, ৫-মিনিট টাইমফ্রেমে তিনটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। ইউরোপীয় সেশনের সময়, মূল্য 1.2913 লেভেল থেকে সুনির্দিষ্টভাবে বাউন্স করে এবং মার্কিন সেশনের শুরুতে 1.2980-1.2993 এরিয়াতে পৌঁছায়। এটি নির্দেশ করে যে, নতুন ট্রেডারদের লং পজিশন ক্লোজ করার সুযোগ থাকতে পারে, তবে শর্ট পজিশন ওপেন করার সম্ভাবনা কম ছিল। মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশের সময় মূল্য 1.2880 এর লেভেল টেস্ট করেছে, যার ফলে মূল্যের দ্রুত মুভমেন্ট পরিলক্ষিত হয়েছে। সন্ধ্যায়, মূল্য পুনরায় 1.2980 থেকে রিবাউন্ড করে, যা ট্রেডারদের শর্ট পজিশন ওপেন করার আরেকটি সুযোগ প্রদান করেছে।

বৃহস্পতিবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:

ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, ইতোমধ্যে স্বল্পমেয়াদে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হওয়া উচিত ছিল, কিন্তু ট্রাম্প এটি প্রতিরোধ করার জন্য সম্ভাব্য সবকিছু করছেন। আমরা এখনও আশা করছি যে মাঝারি মেয়াদে 1.1800 পর্যন্ত পাউন্ডের দরপতন হতে পারে, তবে ট্রাম্পের কার্যক্রমের কারণে ডলারের দরপতন কত দিন অব্যাহত থাকবে তা অনিশ্চিত। যখন ডলারের দরপতন শেষ হবে, তখন সব টাইমফ্রেমে টেকনিক্যাল চিত্র নাটকীয়ভাবে পরিবর্তিত হতে পারে।

বৃহস্পতিবার, যদি ট্রাম্প বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে থাকেন এবং বিশ্বব্যাপী তার বিভিন্ন শর্ত আরোপ করতে থাকেন তাহলে GBP/USD পেয়ারের মূল্য বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে। অনেক আগেই নিম্নমুখী কারেকশন হওয়ার কথা, কিন্তু মার্কেটের ট্রেডাররা কেবল ডলার বিক্রির দিকেই বেশি মনোযোগ দিচ্ছে। ঊর্ধ্বমুখী মোমেন্টামের প্রভাবে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকতে পারে।

৫-মিনিট টাইমফ্রেমে, নিম্নলিখিত লেভেলগুলোতে এই পেয়ারের ট্রেডিং করা যেতে পারে: 1.2301, 1.2372-1.2387, 1.2445, 1.2502-1.2508, 1.2547, 1.2613, 1.2680-1.2685, 1.2723, 1.2791-1.2798, 1.2848-1.2860, 1.2913, 1.2980-1.2993, 1.3043, 1.3102-1.3107। বৃহস্পতিবার, যুক্তরাজ্যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট নির্ধারিত নেই, তবে যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদক মূল্য সূচক এবং বেকার ভাতা আবেদন সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে—যেগুলো গুরুত্বের দিক থেকে গৌণ তথ্য হিসেবে বিবেচিত হয়।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন ওপেন করা হয় (যা টেক প্রফিট ট্রিগার করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ভুল সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যাল নাও গঠিত হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে মুভমেন্ট প্রদর্শুন পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। চলমান প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেট থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত কৌশল হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

Recommended Stories

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.